ছবি দেখে গ্রেপ্তা’র ৩: চুরির অভি’যোগে মা–মেয়েকে নির্যাত’ন
শুক্র'বার কক্সবাজারে'র চকরিয়া উপজেলা'র হারবাং ইউনিয়নে গরু চুরি'র অভিযোগে মা-মেয়েকে রশি'তে বেঁধে নির্যাত'ন করা হয়। স্থানীয় চেয়্যার'ম্যান এর সঙ্গে যুক্ত ছি'লেন।
কক্স’বাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশি’তে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ছবি ও ভিডি’ও দেখে তিনজন’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চক’রিয়া থানার পুলিশ রোববার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভি’যান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। সোমবার বিকেলে ৫৪ ধারায় তাঁদের আদালতে তোলা হয়। আদা’লত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই তিন’জন হলেন নজরুল ইসলাম (২৭), জসিম উদ্দিন (৩২) ও মো. নাছির (২৮)। নজরুল গরু চুরি সংক্রান্ত মা’মলার বাদী মাহবুবুল হকের ছেলে আর জসিম ও না’ছির ওই মামলায় সাক্ষী ছিলেন।
চকরিয়া থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহ’মান বলেন, দুই নারী’কে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা’য় কয়েকটি ভিডিও ও ছবি পুলিশ সংগ্রহ করেছে। এসব ভি’ডিও ও ছবি দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে নজ’রুল, জসিম ও নাছিরকে গ্রেপ্তার করে আদা’লতে পাঠানো হয়।
শুক্রবার চক’রিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়’নের একটি গ্রামে গরু চুরির অভি’যোগে মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধে নির্যা’তন করেন স্থানীয় লোকজন। ওই দুই নারীর সঙ্গে ছি’লেন আরও তিনজন। পরে তাঁদের কয়েকটি গ্রাম ঘু’রিয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যা’লয়ে নেওয়া হয়। সেখানে চেয়া’রম্যান মিরানুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় তাদের মার’ধর করেন।
তাঁদের শারী’রিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে চেয়ার’ম্যান তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাঁদের চক’রিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। ওই রাতে’ই গরু চুরির অভিযোগ এনে তিন নারীসহ পাঁচজ’নের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা করেন মাহবু’বুল হক নামের এক ব্যক্তি।
পরের দিন শনিবা’র আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহা’জতে পাঠানো হয়। সোমবার কক্সবা’জারের চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কু’মার দেব মা-মেয়েসহ তিন নারীকে জামি’ন দেন। বাকি দুজনের জা’মিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
নারীদে’র রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘট’নার একটি ভিডিও ও কয়েকটি ছবি সামাজি’ক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়। এর পরি’প্রেক্ষিতে রোববার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন তিন সদ’স্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
Facebook Comments