মার্কি’ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের প্রতিষ্ঠান ওরা’কলের প্রশংসা করে বলেছেন, এটি খুব ভালো কোম্পানি। ওরাকল চীনের টিকট’ককে কেনার জন্য বাইটড্যান্সের সঙ্গে আলোচনা করছে শুনে মার্কিন প্রে’সিডেন্ট এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিকটককে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিক্রি হওয়া’র জন্য নির্দেশ জারি করার পর ট্রাম্প বলে’ছেন, ওরাকল ভালো কোম্পানি। তারা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে টিক’টকের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
টিক’টককে কিনতে এর মা’লিক বাইটড্যান্সের বেশ কিছু বিনিয়ো’গকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসে’ছে ওরাকল কর্তৃপক্ষ।
ওরা’কলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ফাইন্যা’ন্সিয়াল টাইমসকে জানিয়ে’ছে, টিকটকের মালিক প্রতি’ষ্ঠান চীনের বাইটড্যান্স ইনকরপো’রেশনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছে ওরাকল। এ ছাড়া প্রতি’ষ্ঠানটি বাইটড্যান্সে শেয়ার থাকা একাধিক বিনিয়ো’গকারীর সঙ্গেও কাজ করার কথা বলেছে।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসি’ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটকের সম’র্থনে যে সম্পদ ছিল, তা যুক্তরাষ্ট্রের অনু’কূলে আনতে বাইটড্যা’ন্সকে নির্দেশ দেন। এ জন্য ৯০ দি’নের সময় বেঁধে দেন তিনি। ট্রাম্প দাবি করেন, টিকটক অ্যাপ’টির তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া তাঁদের জাতীয় নিরা’পত্তার জন্য হুমকি।
এ পর্যন্ত টিকট’ককে কেনার দৌড়ে সামনে রয়েছে মাইক্রো’সফট। তারা টিকটকের যুক্ত’রাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ’জিল্যান্ডের পরিচালনার অংশ কিনে নিতে চায়।
টিকট’কের সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে টুইটারের পক্ষ থেকেও আ’গ্রহ দেখা গেছে। টিকটককে কেনার আগ্রহ দে’খানো হলেও তাদের আর্থিক সংগতি নেই।
যুক্তরা’ষ্ট্রের মাইক্রোসফট করপো’রেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা জনপ্রিয় সংক্ষিপ্ত ভিডি’ও তৈরির অ্যাপ টিকটককে বাইট’ড্যান্সের কাছ থেকে কিনে নেও’য়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১৫ সেপ্টে’ম্বরের মধ্যে এ চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলতে চায় তারা।
টিকটক কে’নার জন্য চলছে দর-কষাকষি। কিন্তু মাইক্রো’সফট টিকটককে কিনতে চাইছে পানির দামে। সা’উথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, মাই’ক্রোসফট টিকটককে কে’নার জন্য যে দর হাঁকাচ্ছে, এতে টিকট’ককে কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
ভারতের বা’র্তা সংস্থা পিটিআই’য়ের খবরে জানানো হয়, ১৫ সে’প্টেম্বরের মধ্যে কোনো মা’র্কিন কোম্পা’নি যদি টিকটককে কিনে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটককে নিষিদ্ধ করবেন। তিনি টিকটকের ৩০ শতাংশ মালিকানা কেনার বদলে পুরোপুরি কিনে নেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তিনি মাইক্রোসফটের প্রধান নি’র্বাহী সত্য নাদেলার সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।
৬ আগস্ট ট্রাম্পের সই করা নি’র্বাহী আদেশ অনুযায়ী, টিকটক যে তথ্য সং’গ্রহ করে, তা চীনের কমিউ’নিস্ট পার্টির কাছে চলে যায় এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠা’নের তথ্যে নজরদারি করতে পারে। চীনা কোম্পানি’গুলো যে অ্যাপ তৈরি করছে, তা জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য হুমকি।
ট্রাম্প বলেন, ‘টি’কটক আমাদের জন্য উদ্বেগের বি’ষয়। আমরা এটা বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যো’গ নিচ্ছি।’ এর আগে মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেন, এই অ্যাপ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে চীন।
টিকটক কর্তৃপক্ষ শুরু থে’কেই এমন আশঙ্কাকে ভিত্তি’হীন বলে আসছে। তারা বলছে, এই অ্যাপ চীন সর’কারের নিয়ন্ত্রিত নয় এবং তারা চীন সরকারের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে না।
টিকটকের মূল কো’ম্পানি বাইটড্যান্সের প্রধান কার্যালয় বেই’জিংয়ে এবং এটি চীনে জনপ্রিয় হওয়ার পর বিশ্ব’ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনাও বেড়েছে। টিকটকের সবচেয়ে বেশি সমা’লোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির কয়ে’কজন সিনেটর এর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানি’য়েছিলেন।’
ভারত গত ৩০ জুন টি’কটক, উইচ্যাটসহ চীনা ৫৯টি অ্যাপ বন্ধ ক’রে দেয়। নয়াদিল্লি এসব অ্যাপ’কে দেশের জন্য বিপজ্জনক অভিযো’গ তুলে তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়; যদিও ১৫ জুন লাদাখে চীনে’র সঙ্গে সীমান্ত-সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত হওয়া’র পর দিল্লি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
গত বছরের অক্টো’বরে ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ের সিলিকন ভ্যা’লিতে অফিস খুলেছে টিকটক। ফেসবু’কের কার্যালয়ের কাছাকাছি অফিস নিয়ে ফেসবুকের কর্মী’দের ভাগিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে টিক’টকের নির্মাতা বাইটড্যা’ন্সের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ফেসবুকের বেশ কয়েক’জন কর্মী টিকটকে যোগও দিয়েছেন। ফেসবুকের চেয়েও বেশি বেত’নের অফারে কর্মী নিয়োগ দিয়েছে টিকটক।